অনলাইন ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের সহপাঠীদের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) কাপ্তাই সড়কে চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের ২০২০ ব্যাচের ছাত্র শান্ত সাহা ও একই বিভাগের ২০২১ ব্যাচের তৌফিক হোসেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের কাজল সাহার এবং তৌফিক হোসেন নোয়াখালী জেলার সুধারাম উপজেলার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সন্তান।
এ ঘটনায় আহত জাকারিয়া হিমু পুরকৌশল বিভাগের ২০২১ ব্যাচের ছাত্র বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন আছেন।
সোমবার রাত থেকে চুয়েটের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কাপ্তাই সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। সড়কে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়াসহ বেশ কিছু যানবাহনও ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন চুয়েটে বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস উদযাপিত
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চুয়েটের সামনে কাপ্তাই সড়কে টেবিল-চেয়ারসহ নানা আসবাবপত্র ফেলে রেখে ব্যারিকেড দেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য বাসচালক ও হেলপারকে দায়ী করে তাদের বিচার দাবি করেন।
নজরুল ইসলাম নামে চুয়েটের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বেপরোয়া শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস চুয়েটের দুই ছাত্রকে পিষে মেরেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরা এ আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
চুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘সোমবার বিকালে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় তিন ছাত্র আহত হন। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কাপ্তাই সড়কে তারা ব্যারিকেড দেয়। পরে তাদের বুঝিয়ে আমরা ভেতরে নিয়ে আসি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।’
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন
Leave a Reply